বিভিন্ন উপজেলায় জরিমানা-টহল

কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৬ জুলাই, ২০২১ at ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও গতকাল রবিবার অভিযান অব্যাহত রেখেছিল উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় মহাসড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল ছিল জোরদার। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও যানবাহন নিয়ে সড়কে বের হওয়ার কারণে জরিমানা করা হয়।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভায় বিভিন্ন এলাকায় ইউএনও ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) অভিযানে ১৯ মামলা ১২ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার উপজেলার হাইদগাঁও আশ্রায়ণ প্রকল্প, হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, কচুয়াই ইউপির কমলমুন্সির হাট এলাকায় মাস্ক পরিধান না করায় ১০টি মামলায় ১৫ জনের কাছ থেকে ৭ হাজার ৬শত টাকা জরিমানা আদায় করেন ইউএনও ফয়সাল আহমদ। অন্যদিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিলুফা ইয়াছমিন উপজেলার শান্তিরহাট, নয়াহাট, বাদামতল, ধলঘাট, পৌরসদরের বিওসি রোড ও পৌর এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধান না করায় ৪ হাজার ৬ শত টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, বিধি-নিষেধ অমান্য করায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি মামলায় ৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার সকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব চৌধুরী এই অভিযান চালান। অভিযানে সহযোগিতা করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার জন্য ৮টি মামলায় মোট ৫২০০ টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের বিশেষ নির্দেশনায় এদিন সকাল ৮টা থেকেই চট্টগ্রামের সকল উপজেলায় একযোগে অভিযান চালানো হয়।
এদিকে বিধিনিষেধের প্রথম দিন থেকেই সড়ক কেন্দ্রিক এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও, আশেপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করেছে। সাধারণ মানুষকেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।
বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাযহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক দুটি টিম বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন- ২০১৮ এর আওতায় ৩৬টি মামলা দায়ের করে ২১ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, কঠোর লকডাউনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সীতাকুণ্ড উপজেলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মহাসড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল ছিল জোরদার। গতকাল রবিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলার বড় দারোগার হাট, ছোট দারোগারহাট, পন্থিছিলা, সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাজার, শুকলালহাট, বাড়বকুণ্ড বাজার, বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সরকারী আইন অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৯হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউন কার্যকরে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে লোহাগাড়ায় কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে লোহাগাড়ায় ৭৬ মামলায় ৬৭ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবীব জিতু এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঙবাজার ১০ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন জাযাউল ইসলাম, লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই স্নেহহাংশু বিকাশ সরকার, লোহাগাড়া থানার এসআই রুহুল আমিন, লোহাগাড়া ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহমুদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের মুহাম্মদ ইলিয়াছ রুবেল ও সমির চক্রবর্তী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রোগীকে অক্সিজেন নয়
পরবর্তী নিবন্ধরাউজান পৌরসভায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু