বিপ্লব ঘটাবে তেজ গোল্ড!

আনোয়ারায় এবার দ্বিগুণ জমিতে বোরো চাষ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। শীত আর ঘন কুয়াশা; ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিনভর জমিতে সেচ দেয়া, চাষ দেয়া, বীজতলা থেকে চারা তোলাসহ নানা কাজে ব্যস্ত তারা। দেশের প্রথম হাইড্রোলিক রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইছামতি খালে বাঁধ নির্মাণ ও বেড়িবাঁধ নির্মিত হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার পতিত জমিসহ প্রায় দ্বিগুণ জমি, অর্থাৎ ৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি অফিস।
এ বছর নতুন জাত হাইব্রিড তেজ গোল্ড ও ইস্পাহানি-২ উন্নত জাতের বীজ ধানসহ ২ হাজার ৮শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের মধ্য দিয়ে চাষাবাদের গতি বাড়ানো হয়েছে। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকলে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়। উপজেলার বরুমচড়া, চাতরী, আনোয়ারা, পরৈকোড়া, বারখাইন, হাইলধর, বৈরাগ, বারশত, রায়পুর, বটতলী ও জুঁইদন্ডিসহ সব ইউনিয়নের অনাবাদী জমিতে এ বছর বোরোর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসের নতুন উন্নত মানের হাইব্রিড তেজ গোল্ড ও ইস্পাহানি-২ জাতের সাথে ব্রিধান ৪৮, ৬৭, ৫৮, ২৮, ২৯, ৩২, ৩৩, ৮৭, ৬৪, ৭৪, ৮৮, ৫৫, ৮৯, বিআর-২৬, বিনা-১০, ১৪ কৃষকদের প্রদান করা হয়। আনোয়ারা কৃষি অফিস থেকে ২ হাজার ৮শ ৫০ জন কৃষককে ইতোমধ্যে বোরো প্রণোদনা হিসেবে উন্নত ধানবীজ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জন কৃষককে বোরোর প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে শোলকাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা কেউ জমিতে চাষ করছেন, কেউ চারা রোপণে ব্যস্ত।
শোলকাটা গ্রামের কৃষক এসএম মহিউদ্দিন জানান, এ বছর ১৪ কানি জমিতে বোরো চাষের আশা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৪ কানি জমি প্রস্তত করা হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, সরকার এ বছর সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আনোয়ারায় চাষযোগ্য সকল জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দেশের প্রথম হাইড্রোলিক রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইছামতি খালে বাঁধ নির্মাণ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে উন্নত জাতের দেশীয় ফলনশীল তেজ গোল্ড ও ইস্পাহানি-২ সংগ্রহ করায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও ব্লক সুপারভাইজারগণ কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে মাঠে কাজ করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্প দখলে নিতে অস্ত্রের মহড়া
পরবর্তী নিবন্ধমাটিরাঙায় মেয়র পদে আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল