জয় দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। কিন্তু কে জানতো সেই প্রথ জয়টায় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের জন্য প্রথম এবং শেষ জয়ে পরিণত হবে। যদিও এখনো সুযোগ রয়েছে আরেকটি জয় তুলে নেওয়ার। কারণ ঢাকার এখনো একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবে তার আগে লজ্জার একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ঢাকা। টানা দশ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে দলটি। গতকাল নিজেদের ১১তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে দুর্দান্ত ঢাকা। ফলে ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট সর্বসাকুল্যে ২। একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। সেটিতে হারলে টানা ১১ ম্যাচে হারের ষোলকলা পূরণ হবে ঢাকার। তবে ঢাকা টানা ১০ ম্যাচে হারলেও টানা পাঁচ হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। অথচ শুরুতে টানা চার ম্যাচে জিতেছিল খুলনা। এরপর টানা পাঁচ পরাজয়। বিপিএলের শেষ চারে যাওয়াটা যখন সুতোয় ঝুলছিল ঠিক তখনই দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। দশ ম্যাচে খুলনার পযেন্ট এখন। কাজেই শেষ চারের আশা এখনো জিইয়ে আছে খুলনার। কারণ এখনো দুটি ম্যাচ বাকি তাদের। সে দুটি ম্যাচে টানা জিতলে শেষ চারে জায়গা হয়ে যেতে পারে খুলনা টাইগার্সের। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দুর্দান্ত ঢাকা শুরুতেই বিপর্যস্ত।
ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না দলটির। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম দুই বলে ফিরেন ওপেনার নাইম এবং তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসান। ২৭ রানে নেই দুই উইকেট। ৯ রান পর আবার সেই পারনেলের আঘাত। এবার তার শিকার ঢাকার ওপেনার রসিংটন। ১২ বলে ১৮ রান করেন তিনি। পারনেলের শুরু ধাক্কার পর এবার বল হাতে আগুন ঝরালেন খুলনার আরেক পেসার মুকিদুল। তবে তার আগে অ্যালেক্স রস ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে কিছুটা রান পেয়েছে ঢাকা। এ দুজন চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধ গড়তে। কিন্তু সফল হতে পারেনি দুজন। ৬২ রানের মাথায় ২৬ বলে ২৫ রান করে মুকিদুলের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেন আরফান শুক্কুর। ইরফানকে আউট করার পরের বলেই উইলিয়ামসকে ফেরান মুকিদুল ইসলাম । এরপর রান আউট হয়ে ফিরেন আলেক্স রস। তবে ফিরে আসার আগে রস করেছেন ৩৫ বলে ২৫ রান। শেষ দিকে লড়াই করে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। মূলত তার ২৩ বলে ২৬ রানের বদৌলতে মান বাঁচে ঢাকার। তিনি মুকিদুলের তৃতীয় শিকার হন। তার সঙ্গে জুটি করা চতুরাঙ্গা ডি সিলভা করেছেন ১১ বলে ১৭ রান। আর তাতে শেষ পর্যন্ত ১২৮ রানে থামে দুর্দান্ত ঢাকা। খুলনা টাইগার্সের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়েইন পারনেল এবং মুকদিুল ইসলাম। ১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ফিরেন এনামুল হক বিজয়। শরীফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন খুলনা অধিনায়ক। শরীফুলেল পরের ওভারে ফিরেন খুলনার আরকে ওপেনার এভিন লুইস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং শাই হোপ। ইমন চেষ্টা করছিলেন রানের গতি বাড়ানোর। যেহেতু শেষ চারে যাওয়ার ক্ষেত্রে রান রেটের একটা হিসেব নিকেষ থাকবে। ৩০ বলে ৪০ রান করে ইমন ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি।
চতুর্থ উইকেটে আফিফের সাথে ৩৩ রান যোগ করার পর ফিরেন শাই হোপও। তাসকিনের প্রথম শিকার হয়ে ফেরা আগে এই ক্যারিবীয়ান ব্যাটার করেন ২৮ বলে ৩২ রান। এরপর দলকে জয়ের একেবারে কিনারায় নিয়ে গিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু তার দল যখন জয় থেকে মাত্র ৫ রান দুরে তখন তাসকিনের দ্বিতীয় শিখার হয়ে ফিরেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে আফিফ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৮ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে ফিরেন আফিফ। ২১ বলে ২টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের ওয়েইন পারনেল। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মনজু।