বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত ইমরুল হাসান

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ২১ অক্টোবর, ২০২৪ at ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর। এবারের নির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনয়ন নেওয়া বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান সহসভাপতি ইমরুল হাসান এবং ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন। তবে গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তরফদার। ফলে সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ইমরুল হাসান। নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ানো তরফদারের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সরে যান তিনি। তখন বলেছিলেন বিভিন্ন মহলের চাপের কারণে সরে যেতে হয়েছে তাকে। এবারও বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা মধ্যে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার। এরপর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন তিনি। তখন তিনি বলেছিলেন, এবার কোনও চাপ নেই। শেষ পর্যন্ত থাকবেন তিনি। তবে এবারও সেই একই দৃশ্য দেখা গেল। এবার অবশ্য তরফদারের নমিনেশন প্রত্যাহার ঘিরে নাটকের অবতারণা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে এসে তরফদার রুহুল আমিনের প্রতিনিধি প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। সেই প্রত্যাহারপত্রে তিনি সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেন। বাফুফে নির্বাচনী বিধিমালায় নির্বাচন সংক্রান্ত সকল আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর করতে হয়। ফলে তরফদার রুহুল আমিনের প্রত্যাহারের আবেদন যথাযথ হয়নি। এরপর তাকে ভুল সংশোধন করার জন্য বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেন নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন উনি ১টা ৫৯ মিনিটে আমাদের কাছে একটা আবেদন করেছেন সেটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এরপর আমরা তাকে সময় দিয়েছি। তিনি সেই নির্ধারিত সময়ে আমাদের কাছে ঠিক করে আবেদন জমা দেন। আমরা সেটা গ্রহণ করেছি। তরফদারের এই নাটকের পর নির্বাচন কমিশন ব্যালট নম্বরসহ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সভাপতি পদে তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ নম্বর ব্যালট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ১ নম্বর ব্যালট। সিনিয়র সহসভাপতি পদে একক প্রার্থী ইমরুল হাসান। চারটি সহসভাপতি পদের জন্য লড়বেন ছয় প্রার্থী। ব্যালটের ক্রমানুসারে তারা হলেনফাহাদ করিম, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি), নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, শফিকুল ইসলাম মানিক, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির। এছাড়া ১৫টি নির্বাহী সদস্য পদের জন্য লড়বেন ৩৭জন প্রার্থী। প্রত্যাহারের দুই দিনে তিনজন নির্বাহী সদস্যের প্রার্থীতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছেন। ২৬ অক্টোবর বার্ষিক কংগ্রেস শেষে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলবে বিরামহীন ভোটগ্রহণ। যেখানে ভোটার সংখ্যা ১৩৩জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি
পরবর্তী নিবন্ধমার্করামের কাছে সাকিবের দলে না থাকা স্বস্তিজনক