দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার রাতে নতুন দর ঠিক করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। নতুন নির্ধারিত দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে। খবর বিডিনিউজের।
এদিন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণাও এসেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে। ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার এক টাকা করে এবং পেট্রোল ও অকটেন আড়াই টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই যা কার্যকর হবে।
বর্তমানে সার কারখানার জন্য প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা, শিল্প সংযোগের জন্য প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা, চা বাগানের জন্য ১১ টাকা ৯৩ পয়সা, হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য ৩০ টাকা ৫০ পয়সা, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জন্য ৩৫ টাকা এবং গৃহস্থালির জন্য প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারিত রয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের মূল্য ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের আটটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩৭ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতের জন্য ১৮ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ভর্তুকি কমাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য ও সেবায় দাম বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সময় সমঝোতা চুক্তিতে এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও আদায় করেছে সংস্থাটি।