সারাদেশে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে বেসরকারি খাতে ৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৭৪ লাখ। আর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৭৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। খবর বিডিনিউজের।
সরকারি খাতের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা সবচেয়ে বেশি- ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আধা সরকারি খাতে বকেয়া ১৯৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বকেয়া বিল আদায়ে আইনি যা যা পদক্ষেপ আছে তা নিতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে আমরা বলেছি সচিব কমিটির বৈঠকে যেন সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে বকেয়া বিল বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে বিদ্যুৎ বিলের টাকা তারা অন্য উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু বকেয়া বিলের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়লে জনগণের উন্নয়নেই যে ব্যবহার হয় এটা বুঝতে হবে। বৈঠকে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার দ্রুত স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এবিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুতের অপচয় ও চুরি দুটোই কম হয়। জনগণের সেবা প্রাপ্তি সহজ করার পাশাপাশি হয়রানি রোধে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করা হয়।
এতে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমাতে মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ ও প্রকল্পের অপচয়রোধ করে নির্ধারিত সময়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।