বিদ্যালয়ে বিয়ের আয়োজন পণ্ড হওয়ায় শিক্ষককে হত্যার হুমকি, অতপর গ্রেফতার যুবদল নেতা

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৩:০৪ অপরাহ্ণ

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন মিয়া মো. হারুন খান নামে মহানগর যুবদলের এক নেতা। এসময় বিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি শিক্ষককে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।
গত ৩০ জুন ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বাংলানিউজ
গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) মামলা দায়ের করার পর রাতেই প্রধান আসামি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো. নিজাম উদ্দিন। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া বিদ্যালয়ে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেননি মো. নিজাম উদ্দিন। তবুও অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন সেখানে বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর বিদ্যালয়ে মেয়ের বিয়ে হতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে নিষেধ করেন একরাম সহ তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ করা হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, “গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে তদন্ত দল আসে বিদ্যালয়ে। এসময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক বিদ্যালয়ে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খান, আরেক ভাই জানে আলম, মো.মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান। তারা প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে টেবিলে থাপ্পড় মেরে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় মো. নিজাম উদ্দিনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি কর্নেলও বাঁচাতে পারবে না বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় শনিবার মামলা দায়ের করা হলে রাতে মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধকঠোর লকডাউনে স্থবির বান্দরবান
পরবর্তী নিবন্ধঅন্যের হয়ে তিন বছর জেল খেটে ‘ট্রাকচাপায়’ পরপারে