রামুতে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার সাত বছরের শিশু আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংকরোড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির চাচাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপহৃত শিশু আরোয়া রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডস্থ অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার আনোয়ারুল হকের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরাও একই এলাকার বাসিন্দা। তারা হল ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে হাসনাইনুল হক প্রকাশ নাঈম (২৩) ও পূর্ব দ্বীপ ফতেখাঁরকুলের আব্দুস ছোবহানের ছেলে মো. শাহীন (২৫)।
র্যাব–১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কামরুজ্জামান গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান। অপহৃত শিশুর পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১১ নভেম্বর সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সিকদারপাড়া এলাকার এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেটের সামনে থেকে আফিয়া জান্নাত আরোয়া অপহরণের শিকার হয়। অপহরণকারী চক্র সিএনজিচালিত টেক্সিযোগে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সকাল ১১টার দিকে শিশুটির মায়ের মোবাইলে কল করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। না দিলে শিশু আরোয়াকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে অপহরণকারীরা শিশু আরোয়াকে প্রথমে ঈদগাঁও নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চৌফলদণ্ডিতে নিয়ে গিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। আবার সেখান থেকে নিয়ে যায় কুতুপালং। শেষে কুতুপালং থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হয়ে লিংকরোডে নিয়ে আসে।
র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করকে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তার অপহরণকারী শিশু আরোয়ার চাচা নাঈম জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চাইলে টাকা না দেয়ায় বন্ধু শাহীনকে নিয়ে ভাতিজিকে অপহরণ করেন। অপহরণের পর ওই শিশুকে ব্যান্ডেজ পরিয়ে পরিবারের কাছে ছবি পাঠায়, যাতে ভয়ে টাকা দেয়।
গ্রেপ্তার দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করা হলে পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।