বিদেশ থেকে দেশে আসার যাত্রীরা তিনটার বেশি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আবার একটির শুল্ক পরিশোধ করতে হবে তাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই প্রস্তাব করেছেন।
এতদিন পর্যন্ত একজন যাত্রী আটটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। এর মধ্যে ছয়টির জন্য শুল্ক দিতে হত। তবে দুটি ফোন আনা যেত শুল্ক ছাড়াই। এখন শুল্ক দিয়েও লাগেজে করে তিনটির বেশি ফোন আনা যাবে না। খবর বিডিনিউজের।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যাগেজ বিধিমালায় এটিসহ আরও কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। বাজেট ঘোষণার পরপরই এই বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য হবে।
প্রস্তাবিত এ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়াই একজন যাত্রী দুটো মোবাইল ফোন আনতে পারবেন। আর শুল্ক কর পরিশোধ করে নিতে পারবেন আরও একটি মোবাইল ফোন।’
প্রস্তাবিত বাজেটে, আনঅ্যাকোমপেনিড লাগেজ শুল্ক–কর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আনার প্রবণতা বাড়ছে জানিয়ে কর ফাঁকি রোধে স্বর্ণালঙ্কারের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে মাবাইল ফোনের কলরেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচও বাড়ছে। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়াও প্রতিটি সিম কার্ড/ই–সিম সরবরাহের বিপরীতে বিদ্যমান মূসকের পরিমাণ ২০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
আগে মোবাইল ফোনের কলরেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো। এখন নতুন করে আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহক এখন ১০০ টাকার রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবেন। বাজেট ঘোষণার পরপরই নতুন এ শুল্ক হার কার্যকর হবে বলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের পক্ষে জানানো হয়েছে।