বর্ধিত অধিবেশনের সকাল আটটা, দুপুর ২টা, রাত আটটা ও সাড়ে এগারটা আধা ঘন্টা করে দু ঘন্টা খাচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রের সংবাদ। সংবাদে আপত্তি নেই। ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান আমরা সেই চ্যানেলে গেলেই তো দেখতে পাই, তাহলে কেন নাটকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান- এমনকি গানের অনুষ্ঠান ঢাকা থেকে নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে অহরহ সমপ্রচার করা হচ্ছে? চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আর্কাইভে এমন অনেক আকর্ষণীয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান রয়েছে, যা ঢাকাকেও হার মানায়। বর্তমানে দুর্দান্ত অনুষ্ঠান নির্মাণের সক্ষমতাও রয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান নির্মাণ করলে অনুষ্ঠান স্বল্পতা থাকার কথা নয়। কোন কারণে তা ঘটলে, আর্কাইভ থেকে নিজেদের নির্মিত অনুষ্ঠান সমপ্রচার করা হোক। ঢাকা থেকে এনে অনুষ্ঠান সমপ্রচার করা মানে চট্টগ্রামের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। চট্টগ্রাম অঞ্চলকে তুলে ধরার সুযোগ ও অধিবেশনের সময় নষ্ট করা। একটি ব্যাপারে আশ্চর্য হতেই হয় যে, আউট ডোর লোকেশনে নাটক নির্মাণ এখনও নিয়মিত করতে না পারা। চট্টগ্রামে নাট্যগোষ্ঠী প্রচুর, এদের সুযোগ বাড়াতে হবে। আর একটা ব্যাপার দুঃখ ও হতাশাজনক যে,এখনও চট্টগ্রাম স্টুডিও থেকে টেলিফোনে দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণে শিল্পীদের নিয়ে গান, ডাক্তারকে নিয়ে রোগ জিজ্ঞাসা শুরু করতে না পারা। ঢাকা থেকে এতগুলো সংবাদ প্রচারের পরও কোন যুক্তিতে সেই সংবাদগুলো আবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদে দেখানো হচ্ছে। পারলে চট্টগ্রামের সংবাদ বাড়ান। মহানগরীর সাংস্কৃতিক সংবাদ, মেয়র মহোদয়ের ও আগত মন্ত্রীদের মিটিং আরও ফলাও করে প্রচার করা যায়। বাংলাদেশ বেতার খুলনা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের স্থানীয় সংবাদ অনুসরণ করুন। অবিলম্বে ঢাকা কেন্দ্রের নাটক, গানের অনুষ্ঠান, সরাসরি ডাক্তারের অনুষ্ঠান প্রচার সম্পূর্ণ বন্ধ করুন। বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পী চট্টগ্রামে এনে হিজল তমাল করুন। ঢাকা কেন্দ্র কে অনুসরণ করে নিজেরা নির্মাণ করে সমপ্রচার করুন।
জি এন সিদ্দিকী রুমী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।