ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ও চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের বগি (রেক) পরিবর্তন হচ্ছে। একই সাথে চট্টগ্রাম থেকে নাজিরহাট রুটে দুইজোড়া এবং চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত আজাদীকে জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের ইচ্ছে- চট্টগ্রামের নাজিরহাট রুটে এবং দোহাজারী রুটে দুই জোড়া করে ডেমু ট্রেন চালানোর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় রুটেও একটি ডেমু ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুট এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে লোকাল যে ট্রেনগুলো চলে সেগুলোতে দিনদিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। যাত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এই দুই রুটে নতুন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই রুটে যাত্রীদের অধিক স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের জন্য নতুন আঙ্গিকে ট্রেনগুলো চালু হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দোহাজারী ও নাজিরহাট রুটে প্রতিদিন দুই জোড়া করে লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। এসব ট্রেনে চড়ে প্রতিদিন সকালে যাত্রীরা চট্টগ্রাম শহর অফিস করার জন্য স্বাচ্ছন্দে আসছেন এবং অফিস করে বিকালে আবার ট্রেনযোগে ফিরে যাচ্ছেন। এতে তাদের সময় ও অর্থ দুটোই সেভ হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম ঢাকা রুটের বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস দীর্ঘ ১৪ বছর আগের সাদা বগির পরিবর্তে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল সবুজের নতুন বগিতে যাত্রা শুরু করে। ফলে সুবর্ণের সাদা বগিগুলো বিজয় ও মেঘনা এক্সপ্রেসে লাগানো হবে।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০০ নতুন লাল-সবুজের মিটারগেজ কোচ বিভিন্ন ধাপে চট্টগ্রামে এসেছে। সোনার বাংলা থেকে শুরু করে পাহাড়িকাসহ অনেক ট্রেনে লাল সবুজের নতুন কোচ সংযোজন করা হয়েছে। যেসব ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজিত হয়েছে সেগুলোর পুরনো বগিগুলো লোকাল ট্রেনগুলোতে যুক্ত করা হবে। এসব ট্রেনের আগের বগিগুলো এখনো অনেক মজবুত বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মেকানিক্যাল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।