বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেসে আধুনিক শীতাতপ বগি

সোমবার থেকে তিন ট্রেনে নতুন সময়সূচি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস আধুনিক ও উচ্চগতির ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সাদা চায়না বগিগুলো যুক্ত হচ্ছে বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেসে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক এই বগিতে চলাচল শুরু করবে বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেস। উল্লেখ্য, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আধুনিক উন্নতমানের বগি ছিল সুবর্ণ এক্সপ্রেসে। গতবছর ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজের বগি যুক্ত হয়েছিল সুবর্ণতে। আর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের আগের সাদা চায়না বগিগুলোই এখন বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেসে যুক্ত করা হবে।
এ দিকে একই দিন থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিজয়, উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল শুরু করবে। রেল ভবন থেকে বিজয়, উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী আজাদীকে জানান, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের চায়না সাদা বগি নিয়ে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করবে বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেস। বিজয় এক্সপ্রেসে ১৪টি বগি থাকবে। ৫টি এসি, ৫টি শোভন চেয়ার। এছাড়াও থাকবে-পাওয়ার কার এবং গার্ড ব্রেক। অপরদিকে উপকূল এক্সপ্রেসে থাকবে ১৬টি বগি। একই তারিখ থেকে বিজয় ও পাহাড়িকা ট্রেনের সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৯টায়, ময়মনসিংহ পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে, সিলেট পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেট থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ৫টায়। পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে পুরনো বগিতে চলছিল বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেস। এই দুই রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল-শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক বগির। শেষ পর্যন্ত রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস এবং নোয়াখালীগামী উপকূল ট্রেনের রেক পরিবর্তন হচ্ছে। এই দুই রুটে আগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো বগি ছিল না। দীর্ঘদিন পর ময়মনসিংহ ও নোয়াখালীবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচনের উদ্দেশ্যেই এখন বিএনপি নেতাদের উঁকিঝুকি
পরবর্তী নিবন্ধ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী