সংস্কারের তিন মাস পর কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ–সম্পত্তি বিভাগ সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানকে সেতুটি বুঝিয়ে দেয়। এক বছরের জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকায় সেতুর টোল আদায়ে ইজারা নিয়েছে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ। এরপর থেকে কালুরঘাট সেতুর টোল আদায় শুরু হয়। তবে এবার প্রথমবারের মতো সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত মোটর সাইকেল থেকে ২০ টাকা হারে টোল আদায় শুরু করলে প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে মোটরসাইকেল চালকদের প্রতিবাদের মুখে ১ ঘন্টা পর মোটর সাইকেল থেকে টোল আদায় আপাতত বন্ধ রেখেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার চালু করা হবে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার থেকে রেল কর্তৃপক্ষ আগামী এক বছরের জন্য সেতুর টোল আদায়ে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ বুঝিয়ে দেয়।
দীর্ঘ ১৪ মাস সংস্কার কাজ শেষে নতুন রুপ পেয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর সেতুটি সংস্কার শেষে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেয় রেলওয়ে। বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে সংস্কারের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় সেতুটি।
সেতুর টোলের হার : সেতু দিয়ে পারাপারে বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, ট্রাক/ কাভার্ড ভ্যানের টোল ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্সের টোল ৬০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫০ টাকা, জিপ ৫০ টাকা, পিকআপ ৫০ টাকা, টেম্পো ৫০ টাকা, সিএনজি ট্যাঙি ২০ টাকা, ব্যাটারি রিঙা ও ভ্যান ১০ টাকা এবং মোটর সাইকেলের টোল ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে রেলওয়ে গত ডিসেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করেছিল। টেন্ডারে আমাদের মাওয়া এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছে। মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান তাতে অংশগ্রহণ করেছে টেন্ডারে। টেন্ডারে সরকারি ডাকমূল্য ছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪২টাকা। টেন্ডারে আমাদের মাওয়া গ্রুপ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এর সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ৭৮ লাখ টাকা, ৫ শতাংশ আয়কর ২৬ লাখ টাকা এবং ২৬ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হয়েছে। গত মঙ্গলবার ইজারার সকল টাকা (সাড়ে ৬ কোটি) পরিশোধ করার পর আজকে সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।