ঈদুল আযহার দিন বিকেল ৫ টার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিািট কর্পোরেশন (চসিক)। এ কাজে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে নিয়োজিত থাকবেন ৪ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী। বর্জ্য অপসারণ কাজে ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে–লোডারসহ ৩৬৯টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে। পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিস্কার করার জন্য। কোন কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত থাকবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সভায় তিনি কোরবানির দিন এবং পরদিন জবাইকৃত কোরবানিরর পশুর বর্জ্য অপসারণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীদের দিক–নির্দেশনা দেন। তিনি প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, ঈদুল আযহা পবিত্র একটি দিন। আমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করি। কোরবানির মাধ্যমে অন্তরের পাপ, অহংকার, হিংসা, হিংস্রতাকে কোরবানি দিই। সেই মানসিকতা থেকে নগরবাসীর সেবায় আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের টার্গেট, ঈদের দিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ বিকেল ৫টার মধ্যে পুরো নগর পরিষ্কার করে একটি পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তর করা।
তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, পশু জবাইয়ের আগে পানি পান করানো, জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখা এবং রক্ত–পানি ড্রেনে পড়ে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ডা. শাহাদাত বলেন, কোরবানির চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। নগরের বাহিরের চামড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নগরে প্রবশ করতে পারবে না। চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত লবণ ও ইকো–ফ্রেন্ডলি পলিথিন ব্যবহারের ব্যবস্থাও থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মনিটরিং টিম কাজ করবে।
পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকির জন্য মেয়র নিজেই সেদিন সকালে মাঠে থাকবেন বলে জানান। এছাড়া নগর ভবনের দামপাড়ায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ (কন্ট্রোল রুম) খোলা থাকবে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হবে। দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম মাহি, উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।