বিএম ডিপোতে গাড়ি পুড়ে ‘সাড়ে চার কোটি টাকা’ ক্ষতি

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমিতির দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ জুন, ২০২২ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুন্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন এবং হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। গতকাল রোববার (১৯ জুন) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্রাক চালক-শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে লিখিত বক্তব্যে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমদ বলেন, গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন চালক ও হেলপার। তাদের লাশ শনাক্তে স্বজনরা ডিএনএর নমুনা দিয়েছেন। চিকিৎসাধীন আছেন অনেকে। নিহত, নিখোঁজ ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি এবং হতাহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এ দাবি পূরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় ডিপোতে থাকা ১৬টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আটটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বাকিগুলোর কেবিন ও কন্টেনার পুড়েছে। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে চার কোটি টাকা। মালিকরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে এসব গাড়ি কিনেছিলেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য ইতোপূর্বে মালিক পক্ষকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সরকারি কর্তৃপক্ষকে গাড়ির তালিকা দিয়েছি।

বিস্ফোরণের ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, মালিকপক্ষ বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার তথ্য গোপন করেছিল। এ কারণে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মালিকপক্ষকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি লতিফ আহমেদ, বাংলাদেশ ট্রাক চালক-শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ফারুক প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় ক্যাবের ক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ ঘিরে সুনীল অর্থনীতির নতুন স্বপ্ন