ঢাকায় গত মাসে সরকারবিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মারিয়া জাখারোভা মস্কোতে তার দপ্তরে সামপ্রতিক ব্রিফিংয়ে বলেন, অক্টোবরের শেষদিকে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। খবর বাংলানিউজের।
এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয় বলে উল্লেখ করেন রাশিয়ান সরকারের এ মুখপাত্র। গত বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মারিয়া জাখারোভার এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে আলোচনায় আছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বেশ কিছু দিন আগে থেকে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন।
রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে আসছে। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট আয়োজনের কথা জানিয়ে আসছে। এই অবস্থায় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন পিটার হাস।
এই সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। যদিও সহিংসতার কারণে সেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সমাবেশের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সমাবেশের সময় সরকার ঢাকার সড়ক ও প্রবেশপথ বন্ধ করবে কিনা। যদিও পরে মার্কিন দূতাবাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অস্বীকার করে জানায়, এ ধরনের আলাপ হয়নি। রাশিয়া এর আগেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।