বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা, প্রশ্ন কাদেরের

| রবিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে রক্তের দাগ, হত্যা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিএনপিই শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা? উগ্রবাদী তো তারা। ফখরুল সাহেব কেন এই কথা বলেন না যে, দেশে উগ্রবাদী রাজনীতি তারা শুরু করেছেন। বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড করেছে, যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান। তারা তাদের ওপর আরোপিত অভিযোগ আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর। তারা কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। খবর বিডিনিউজের।

ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলছিলেন ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। প্রাইম টার্গেট আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা। যেখানে ২৩টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। এএমএস কিবরিয়া, আহসানাউল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজ, সাংবাদিক মানিক শাহ, সামসুর রহমান, হুমায়ুন কবির বালু বিএনপির আমলে বিএনপি এসব হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল কোথা থেকে পেলেন, আমরা নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছি। এখন তিনি ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব মুক্তি পাওয়ায় আপনার অনুভূতি কী, জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, না! ভালো, উনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে উনি কিছু কথা বললেন, সেটার প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলার একটা সুযোগ তো। তবে মির্জা ফখরুল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সাজানো নাটকের পুনরাবৃত্তি শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, আমরা তার বিবৃতি পড়ে দেখলাম, তারা ঘুরে দাঁড়াবে। কোথা থেকে কোথায় ঘুরবেন, সেটা আমাদের জানা নেই। এই ডিসেম্বরে না আগামী অক্টোবরে, কবে আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। তাদের আন্দোলনের চৌকস কথার ফুলঝড়ি আমরা অনেক শুনেছি। বিএনপির নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরকেই খাটো করছেন। আন্দোলন করার মত অবজেক্টিভ পজিশন বাংলাদেশে নাই।

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, এখন সেখানে যেটা দরকার, একটা ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোমেসি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি, ফরেন অফিস আমাদের যেটা দায়িত্ব, সব পক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে, যুদ্ধকে পরিহার করে শান্তির জন্য, সমঝোতার জন্য ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোম্যাসি করছি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, পারভিন জামান ও এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহর এইচ ব্লক সমাজ কল্যাণ সমিতির অভিষেক
পরবর্তী নিবন্ধসকলে মিলে আধুনিক বাঁশখালী গড়তে চাই