‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইউএনওগিরি–ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে। এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার, সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া।
জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও–ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি এডিট করে বানানো হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির গণজোয়ার দেখে জামায়াতের কিছু ব্যক্তি কৌশলে আমার বক্তব্যকে পুরোপুরি উপস্থাপন না করে কিছু অংশকে এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাতকানিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রশাসনের কাছে চাপে রাখতে কৌশলে জামায়াত প্রশাসনকে ক্ষ্যাপিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আমার দ্বারা কোন ইউএনও এবং ওসিকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি গিয়ে হুমকি ধমকি দেয়ার কোন ইতিহাস আছে? এ ধরণের কোন তথ্য থাকলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি থানার ওসি বা ইউএনও’র কাছে গিয়ে জেনে দেখেন।