চট্টগ্রামে রাজপথে থেকে বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলার পাশাপাশি সম্মেলনও সম্পন্ন করতে চায় আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১৫ অক্টোবর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা ও নগর সম্মেলনের আগে জেলার সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্মেলন শেষ করা এবং মহানগরীর ক্ষেত্রে ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনের টাইম ফ্রেম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সেই অনুযায়ী সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ যে গতিতে জেলার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং মহানগরীর ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন এগোচ্ছে তাতে কোনোভাবেই কেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করা সম্ভব নয়। এদিকে এখনো পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র পতেঙ্গা ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষ করতে না পারলে পেছাতে পারে জেলা ও মহানগর সম্মেলন। জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারাও এ কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, আমাদের দক্ষিণ জেলার ৮ উপজেলায় ৮শর মতো ওয়ার্ড আছে। এর মধ্যে ৪শর বেশি ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ হয়ে ইউনিয়ন সম্মেলন শুরু হবে। জেলা সম্মেলনের আগে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন অবশ্যই শেষ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।
তিনি বলেন, মহানগরও তাদের ওয়ার্ড সম্মেলন সেপ্টেম্বরে শুরু করবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে ওরা ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন শেষ করবে। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন ভাই (হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন) সাংগঠনিক মানুষ। উনি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন সম্মেলন শেষ করাবেনই। ডিসেম্বরে জাতীয় কাউন্সিলের আগে দক্ষিণ জেলা ও মহানগর সম্মেলন অবশ্যই হবে। তবে জেলা সম্মেলন অক্টোবরের শেষের দিকে হতে পারে। আর মহানগর সম্মেলন অক্টোবরে না পারলে হয়তো নভেম্বরে করতে পারে। একই সাথে রাজপথে থেকে বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলা করা হবে এবং সম্মেলনও হবে।