১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বিএনপি এদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর লালদিঘীতে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, প্রহসনমূলক ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সারাদেশে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠলে অবৈধ সরকার তিন মাসের মাথায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। সে নির্বাচনে গণতন্ত্র শুধু ধূলিস্মাৎ হয়নি, ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে প্রমাণ করেছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। বিএনপি একটি আদর্শবিহীন নীতিচ্যুত অরাজনৈতিক অপশক্তির দল। দলটির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তাদের একটি মাত্র লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করা। তিনি আরো বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একাধিকবার ক্ষমতায় এলেও তাদের কোন সফলতা নেই। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোন অবদান নেই। তাদের সফলতা বলতে আছে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশকে বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে বিদেশে অর্থ পাচার করা। নাছির আরো বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করেছিল। শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করলে ১/১১র সময় তৎকালীন সরকার ওই ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করে তাদের বাদ দেয়। তিনি বলেন, অতীতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে বসে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই কোন অপপ্রচার ও বিভ্রান্তির শিকার হওয়ার কোন অবকাশ নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে চ্যাম্পিয়নের খ্যাতি অর্জন করেছিল। তাদের আমলে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে একযোগে দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি জামায়াত জোট বাঙালি জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে একের পর এক চক্রান্ত করছে। কিন্তু তারা তখনও সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচন শুধু বাংলাদেশকে নয়, বিশ্ব সভ্যতাকেও কলংকিত করেছে। এই অপশক্তি বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। কারণ তারা সব সময় ৭১’এর পরাজিত শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কোতয়ালী থানার সভাপতি আলহাজ্ব ফিরোজ আহম্মদ, বাকলিয়া থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী সিদ্দিক আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, মোসলেম উদ্দীন, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, আইন সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, উপপ্রচার সম্পাদক কাউন্সিলর মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য মো. আবুল মনছুর, সদরঘাট থানার সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নূর মোহাম্মদ নুরু, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. ইস্কান্দর মিয়া, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দীন, মো. আলী নেওয়াজ, ইকবাল চৌধুরী, এরশাদ মামুন, লুৎফুল হক খুশী, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।