প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, বিএনপির একজন সংসদ সদস্যের জয় বাংলা স্লোগান জাতীয়করণ নিয়ে সংসদে দেয়া বক্তব্য প্রমাণ করেছে তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না।
তাদের অন্তরে এখনো পেয়ারে পাকিস্তান রয়ে গেছে এবং তারা পাকিস্তানের গোলামীটাই পছন্দ করে। তাদের হৃদয়ে যে পেয়ারে পাকিস্তান বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্যে এটাই প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার সংসদে ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদকে এই বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
রোজায় বেগুনের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় বলে ইফতারের মুখরোচক খাবার তৈরির ক্ষেত্রে বিকল্প সবজি দেখিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চাহিদা বাড়ায় বেগুনের দাম বাড়ছে বলে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ‘বেগুনি’ তৈরি করা যায়। শেখ হাসিনা বলেন, বেগুনের দাম এই রোজার সময় সবাই বেগুনি খাবে। হঠাৎ ১১০ টাকার ওপরে বেগুন হয়ে গেল। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে।
বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যে সবজি সহজলভ্য আছে, সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তাই খাই। মিষ্টি কুমড়া দিয়েও বেগুনি বানানো যায়। সেভাবে আমরা করি, সেভাবে করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে কখনও খেলাপি হয়নি এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কার মত অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে সরকার অত্যন্ত সতর্ক। এর আগে দেশের প্রধান তিনটি খাত- রেমিটেন্স, পোশাক আর কৃষির কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, তিন লাখ কোটি টাকার ঋণ আমাদের ঘাড়ে আছে। এগুলো শোধ করতে হবে। ওই তিনটি খাত শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা থাকবে কিনা? রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ছে। আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে না সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটা দেশ যে দেশটি কোনোদিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্টার হয় নাই, হবেও না। সেদিক থেকেও আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই। আমরা অত্যন্ত সতর্ক। ক্রমাগত উন্নতিতে এক যুগ আগে যে শ্রীলঙ্কা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উঠার পথে ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ অনুযায়ী সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় সংসদ সদস্যরা অধিবেশন কক্ষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।