কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতাকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া অপর আসামিরা হলেন গোলাম দস্তগীর প্রিন্স ও এবিএম খালিদ হাসান। খবর বিডিনিউজের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার এ মামলায় এ্যানিসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এ্যানির আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ডে নেওয়ার তথ্য জানান। রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে এ্যানিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করা হয়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বঙ ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর ‘বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে’ অজ্ঞাতনামা ৩–৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এজাহারে অভিযোগ, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা সরকারি মালামাল ভাঙচুর করে। সেদিনের হামলায় বিটিভির পোর্টেবল ডিএসএনজি সিস্টেমের সব সমপ্রচার যন্ত্রপাতি, এসব যন্ত্রপাতি পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস এবং কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়। ১৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ২১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।