বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ফিরিয়ে আনবে : তারেক রহমান

| মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে আবারও সংযুক্ত করতে চায়। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসাবে গতকাল সোমবার খুলনা বিভাগের সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। খবর বাসসের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মালিকানা এদেশের মানুষের আর স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তার ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে দলীয় সরকারের পরিবর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিল। কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার সেটা সংবিধান থেকে মুছে দিয়ে তিন তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত রেখেছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে আবারও সংযুক্ত করতে চাই।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করে। মানুষের নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, শান্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এছাড়া তরুণ ও যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, গোষ্ঠী, সমতল, পাহাড়ি নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান রাষ্ট্রীয় অধিকার নিশ্চিত, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার আইন ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি, সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই বিএনপির রাজনীতির অগ্রাধিকার। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গতকাল সোমবার রাতে বাসস’কে এ খবর জানিয়েছেন।

এসময় তারেক রহমান আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, যে বাড়িতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাস করেছেন, যে বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চিতে তার নিজের (তারেক রহমান) ও তার ভাইয়ের শৈশবকৈশোরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যে বাড়ি তার মায়ের (বেগম খালেদা জিয়া) সংসারের সূচনা আর বৈধব্যের বেদনার স্বাক্ষী সেই বাড়ি থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কতটা অসম্মানজনক ও অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে সেটা দেশবাসী দেখেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, বিনা চিকিৎসায় তাঁর (তারেক রহমান) একমাত্র ভাইকে নিদারুণ অবহেলায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে দলের তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে মামলা, হামলায় জর্জরিত হয়ে পরিবারপরিজন বিসর্জন দিয়ে, ব্যবসা, চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে, হয় কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে আর অগণিত নেতাকর্মী অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন দেশকে ভালোবেসে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে। তিনি তৃণমূলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাঁরা যেমন অতীতের মতো প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করেন না, তেমনি তিনি এবং দলের প্রধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও জানেন যে, দেশের মানুষও গত ১৫ বছর বাংলাদেশ নামের এক বৃহত্তর কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করেছেন। সুতরাং আজ হিংসা নয় বরং দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে অতীতের সকল অন্যায়ের জবাব দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসম্পদের হিসাব না দিলে খবর আছে : জনপ্রশাসন সচিব
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ব্রিজের নিচে অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ