মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, করোনা পরবর্তী রুশ ও ইউক্রেন যুদ্ধকালীন সময়ে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলমান রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তার সাথে দলীয় সকল স্তুরের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত হয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিবেদিত হতে হবে। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ এই ধরণের অনেক সংকট ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজের অস্তিত্ব জাতির কাছে ধরে রেখেছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সুদৃঢ় হচ্ছে। গতকাল শনিবার মহানগর আওয়ামী লীগের দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসসহ মাসব্যাপী দলীয় কার্যক্রম ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্তসমূহ ঘোষণাকালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি-জামাত দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী যেসকল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা আমাদের জাতীয় অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে তুলবে। কারণ আমরা জানি নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে যে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকেও তারা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় কারণ এই চক্রটি জনবিচ্ছিন্ন তাদের ক্ষমতার উৎসই হচ্ছে বন্দুকের নল। তারা অতীতেও সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এবং অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করে এদেশের জনগণকে জিম্মি করেছিল। জনগণ কর্তৃক প্রত্যাক্ষিত এই চক্রটি বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানায় না। আওয়ামী লীগ কোন অবস্থায় এই পাকিস্তানী মতাদর্শীদের তিল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। তিনি আগস্ট মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণাকালে বলেন এসকল কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের মধ্য দিয়ে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা স্তরের সাংগঠনিক শক্তিকে বেগবান করার আহ্বান জানান। মহানগর আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ আগস্ট সোমবার ১০টায় নগরীর হালিশহরের বড়পোলস্থ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে মাল্যদান ও শ্রদ্ধা নিবেদন, দলীয় কার্যালয় সমূহে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনোপলক্ষে ১৪ আগস্ট রোববার বিকেল ৩টায় কাজির দেউড়ীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভা, ১৫ আগস্ট সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় এবাদত ও প্রার্থনা, বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও অনাথ আশ্রমে তবারুক বিতরণ। সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আলহাজ্ব বদিউল আলম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, মাহবুবুল হক মিয়া, জোবইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহীদুল আলম, সৈয়দ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান, জাফর আলম চৌধুরী, আহমদ ইলিয়াছ, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান ইলিয়াছ, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমেদ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।