আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে এদেশে তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) উদ্যোগে ‘উন্নয়ন ও শান্তি’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বিএনপি নেতারা দল বেঁধে গেছে সিঙ্গাপুরে। আবার শুনি জাতীয় পার্টিরও একজন গেছে। ভালো আলাপ–আলোচনা ভালো। রাজনৈতিক আলোচনা দেশেও করবে, বিদেশেও করবে, এটা তাদের ব্যাপার। রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না। রাজনীতি করেন, দয়া করে ১৪, ১৫ সালের মতো আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো–এ রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। খবর আছে, জনগণ যখন আসে না এবার আপনারা সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছেন। কানাডায় ৫ জন নেতা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে গিয়েছিল। কানাডার আদালত বলে দিয়েছে এরা হচ্ছে সন্ত্রাসী। এদের দল একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কি আমি কি মিথ্যা বললাম?
তিনি বলেন, কী সুন্দর সুন্দর কথা, ১৫ ফেব্রুয়ারি করল কারা। গণতন্ত্রের এজেন্ট নাকি। গণতন্ত্র করবে তাহলে ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন করল? কেন ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করল? কেন ভুয়া লোক এমএ আজিজকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বানালেন? উদ্দেশ্য কী সৎ? আজ গণতন্ত্র, আবার যদি আসতে পারে গণতন্ত্র তারা গিলে ফেলবে। আবার যদি আসতে পারে এদেশে তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। কোনো ভালো মানুষ বাঁচতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অস্তিত্ব তারা রাখবে না। নিশ্চিহ্ন করে দেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, নিশ্চিহ্ন করে দেবে বঙ্গবন্ধুর এ বাংলাদেশকে যারা ভালোবাসে তাদের। এ অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে বড় ঠিকানা। এ বিএনপি সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশ বাংলাদেশ থাকবে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। এখন গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বাঁচাতে হবে, এদেশকে বাঁচাতে হবে। অসাম্প্রদায়িকতাকে বাঁচাতে হবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।