চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি কোনো দেশের নিশ্চয়তা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়নি, আন্দোলনও করে নাই, রাজনীতিও করে না। জনগণ নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। দেশের মানুষ বিএনপির সাথে আছে। এই সংসদের ৩০০ সদস্যদের মধ্যে ১৯৯ জন হচ্ছেন ব্যবসায়ী। টেনে–টুনে ২৬ জন রাজনীতিবিদ পেয়েছে। বাকিগুলো অন্যান্য পেশার। দুর্নীতি লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্য সরকার এই নির্বাচন করেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা।
তিনি গতকাল বিকেলে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা সম্বলিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে কুইক রেন্টালের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকার দায়মুক্তি আইন তারা পাস করেছে। তারা লুটপাট করবে, কিন্তু জনগণ প্রতিবাদ করতে পারবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, দিনদিন শিক্ষাব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবো, মানুষ তার কথা বলার অধিকার ফিরে পাবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জণগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। বিদেশি সার্টিফিকেট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বৈধতা দেওয়ার সুযোগ নেই।
আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়ে সরকার নিকৃষ্ট কাজ করেছে। এটা সরকারের দুর্বলতা।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।