ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরা পথে ক্ষমতায় যেতে বিএনপি দেশে আবারো ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভায় ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের আরো শক্ত অবস্থানে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) জানে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে দেশের মানুষ খুশি, আর বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। আগামী নির্বাচনেও জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটা তারা জানে। তাই তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চয়। তাদের উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এর মধ্য দিয়ে তারা সরকার পতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় রয়েছি তাই এই দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের দেখতে হবে। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে তারা জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনবে, রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে। এই অবস্থায় আমরা চুপ থাকতে পারি না।
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ইদানীং আমরা লক্ষ্য করছি, হঠাৎ করে বাস পোড়ানো, যেটা ফরিদপুরে ঘটেছে…। সেখানে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, সেখানে সবাই এক বাক্যে বলেছে, পুলিশ আক্রমণকারী নয়, তারা আক্রান্ত।
বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিএনপি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও নির্বাচনে জিতবে এমন কোনো আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাই তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাই পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। একটা ওয়ান-ইলেভেন হয়েছে, আরেকটা ওয়ান-ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি করে বেনিফিসিয়ারি হবে। এই লক্ষে তারা অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।
নিজেদের প্রস্তুত রাখার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যাদের ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোট নিয়েছি, তাদের কাছে আমাদের দায় রয়েছে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা, নাশকতা হলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। সেজন্যই আমরা আজকে এই সভা ডেকেছি। তারা যত কথাই বলুক, আমরা আমাদের অবস্থানে সতর্ক আছি।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ১২টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত আমাদের নেত্রী সভা করেছেন। সভা শেষে আমরা এখানে যৌথ সভায় এসেছি। আমরা আরো সতর্ক থাকব, আমাদের নেতাকর্মীদের আরো সুদৃঢ় করতে হবে। আরো শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। যে কোনো ধরনের নাশকতা করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে চাইলে প্রতিরোধ করা হবে, প্রতিহত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার কর্মকর্তার বাংলাদেশে আসার প্রসঙ্গ তুললে সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি আসতেই পারেন, সফর বিনিময় হতেই পারে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়, এটা নিয়ে নতুন করে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।












