আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের সমাবেশ করছে। বিএনপি জনসভা করার অনুমতি চেয়েছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুমতি দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের যেখানে অনুমতি দিয়েছে, সেখানেই জনসভা করতে হবে, সেটাই করা উচিত।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের প্রবেশ পথে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, বিএনপি দেশের সরকার মানবে না, সংবিধান বা সরকারের আইন মানবে না-এ রকম কোনো অধিকার সরকার কাউকে দেয়নি, রাষ্ট্র দেয়নি। রাষ্ট্রের যেকোনো আইন সকলকে অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু বিএনপি তা না মেনে গায়ের জোরে সব করতে চায়।
আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের এই জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। সেটার জন্য চট্টগ্রামবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমাদের বিশ্বাস, আগামীকালকের জনসভা শুধু এই পলোগ্রাউন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোটা চট্টগ্রাম শহরে সকল মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, সকাল আটটা থেকে সমাবেশস্থলের দরজা খোলা থাকবে। আমাদের নেতাকর্মীদেরও সকাল আটটা থেকে মাঠে প্রবেশের জন্য সকল প্রস্তুতি আছে। আমরা আশা করি দুপুর আড়াইটার মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসবেন এবং তিনটার মধ্যে তিনি বক্তব্য শুরু করবেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা উত্তর এই জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। এই জনসভায় ১০ লাখের অধিক মানুষ সমবেত হবে। পলোগ্রাউন্ড ময়দান ছাপিয়ে এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।