দ্বিতীয় দফায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমদ। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে শনিবার রাতে তাঁর করোনা আক্রান্তের বিষয়টি জানা যায়। এর আগে প্রথম দফায় গত বছরের ২৬ মে করোনা আক্রান্ত হন ডা. শাকিল। তবে গতবছর একা আক্রান্ত হলেও এবার তাঁর পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার রাতেই ফেসবুক টাইমলাইনে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সপরিবারে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি শেয়ার করেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘করোনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছি। অতিমারির শুরু থেকেই দিনরাত লেগে আছি করোনার সাথে। করোনাও মনে হয় আমাকে ছাড়ছে না। আজ কয়েকদিন হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা, গলা ব্যথায় ভুগছিলাম। এতো ব্যস্ততা যে তা নিয়েই অফিস করছি। দুদিন আগে আমার স্ত্রী পুত্রদেরও একই লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আজ তাদের টেস্ট করালাম। তারা দুজনেই পজিটিভ। আঁৎকে উঠে নিজের টেস্টও করালাম। আমিও পজিটিভ। অথচ গতবছর মে মাসেই আমার করোনা পজিটিভ হয়েছিল। এ বছর দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়াও শেষ করেছি। তারপরও আবার করোনা!! মনে হয় করোনা আর আমি দুজনে দুজনার হয়ে গেছি! আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।’
উল্লেখ্য, ডা. শাকিল আহমদের হাত ধরেই করোনার নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে। ২৫ মার্চ বিআইটিআইডি ল্যাবে শুরুর পর থেকে এ নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রমের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় ল্যাবে ঢুকে বের হয়েছেন রাত ১১টার পর। এই রুটিনেই কেটেছে তার দিনরাত্রি। ধ্যান-জ্ঞান সবই যেন এই ল্যাবকে ঘিরেই। কারণ শুরু থেকে করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তে চট্টগ্রামে এই ল্যাবই হয়ে উঠেছিল একমাত্র ভরসার প্রতীক। তাই ঝড়-তুফান, রোদ-বৃষ্টি সবই উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত অনেকটাই নিভৃতে কাজ করে গেছেন এই মাইক্রোবায়োলজিস্ট। সহকর্মীদের নিয়ে কাজ চালিয়ে গেছেন ঈদের দিনেও। করোনার নমুনা নিয়ে কাজ করতে করতে দু-দুবার করোনায় আক্রান্ত হলেন তিনি।