নগরীর বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ইমন (২৭) নামে এক ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইমন ওই এলাকার নুর কাসেমের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আরেফিন নগর এলাকায় ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে কয়েকদিন আগে জামিনে আসেন সোর্স আনোয়ার। তিনি স্থানীয় ছাত্রলীগের এক গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে পিস্তল সোহেল ও কার মাসুদ গ্রুপের সাথে সোর্স আনোয়ার গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল। সোর্স আনোয়ার জেল থেকে আসার পর নিজের আধিপত্য বিরাজের চেষ্টা করছিলেন। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে গতকাল রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পিস্তল সোহেল ও কার মাসুদ গ্রুপের কর্মী ইমন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া বলেন, বায়েজিদ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ইমন নামের একজনকে জরুরি বিভাগের আনা হয়। এর আগে তাকে সাদার্ন মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। ওইখানেই তিনি মারা যান। এখানে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার রাতে আরেফিন নগর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইমন হোসেন নামে একজন আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।