সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গতকাল জুমার নামাজের পর ধনিয়ালাপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া এতিমখানা পরিদর্শন করেছেন। এর আগে তিনি রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরিদর্শন শেষে এতিমনিবাসী, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকমন্ডলীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, এতিম প্রতিপালন এমন একটি মহৎ কাজ। যার দ্বারা দুনিয়া–আখিরাত উভয় জগতের কল্যাণ সাধন হয়। এতিম প্রতিপালনে কত ফযিলত এবং এতিমের ঠিকভাবে দেখাশোনা না করলে কী ভয়ঙ্কর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে তার সবিস্তর বর্ণনা কুরআন–হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। এতিম শিশুদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলার মধ্যেই তাদের সঠিক লালন–পালনের সার্থকতা নিহিত আছে। এতিম শিশুদের শুধু ভরণ–পোষণ দেওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং তাদের স্বাবলম্বী করে তোলাও প্রয়োজন। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে এবং সমাজের জন্য সম্পদ হয়ে ওঠে। এতিম শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মানসিক ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা প্রয়োজন। তাদের জন্য ভালো ব্যবহার ও স্নেহপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং তাদের জীবনমুখী ও বাস্তবসম্মত কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়–২ এর প্রধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়–৩ এর প্রধান কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জব্বারিয়া এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুণ শেঠ। অতিথি ছিলেন বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের অর্থ সম্পাদক নুরুল কবির, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম শাকিল, হারুণ অর রশিদ, আনজুমনে নওজোয়ানের সহসভাপতি মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ মুঈন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জব্বারিয়া এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












