দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। চলতি বছরের মে মাসে দেশীয় পেঁয়াজ চাষীদের বাঁচাতে সরকারের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে পেঁয়াজের বাজার চড়া হতে থাকে। তবে পরবর্তীতে সেই আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর পাইকারীতে পেঁয়াজের বাজার ৩০ টাকায় নেমে আসে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হচ্ছে এমন অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে বুকিং দর বাড়িয়েছে। ফলে দামও উর্ধ্বমুখী। গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। তবে বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত ক’দিন ধরে পেঁয়াজ বাজার কিছুটা উর্ধ্বমুখী। বাজার চাহিদা বাড়ার কারণে মোকামে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য চাইলেই বেশিদিন মজুদ করে রাখা যায় না। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে তারা রপ্তানিতে বুকিং দর বাড়িয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এখন পেঁয়াজের বাজারেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আসলে আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে প্রশাসনের কার্যত তেমন একটা নিয়ন্ত্রণ নাই। যার ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো পণ্যের দাম উঠানামা করান।











