সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনশি আব্দুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের চাকরিচ্যুত উপ–সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেছিলেন। আমজাদ হোসেন খোকন টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরান পাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। অনুসন্ধান শেষে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে দুদক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সে সম্পদ বিবরণী জমা দেননি। পরে নিয়মানুযায়ী ২০২১ সালের ২৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–২ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই সময়ের উপ–সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় চেয়ারম্যান খোকনকে একমাত্র আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, দৃশ্যমান কোন ব্যবসা না থাকা সত্ত্বেও আমজাদ হোসেন খোকন কোটি টাকা ব্যয়ে ডুপ্লেঙ বাড়ি নির্মাণ করেন। তার বাড়িটি নির্মাণাধীন থাকার সময় সবার নজর কাড়ে। এ নিয়ে ২০১৯ সালে সচিত্র প্রতিবেদন করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম। এরপরই যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকের আয়ের উৎস খুঁজতে মাঠে নামে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় তদন্তকারীরা। তদন্তে বের হয়ে আসে তার ইয়াবা ব্যবসার কথা। যদিও সে নিজেকে জমি ব্যবসায়ী হিসেবে প্রচার করেছে সব সময়। দুদক টাকার উৎস জানতে চিঠি দিলেও তার উত্তর না দেওয়ায় মামলা হয়। এরপরও তিনি সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।