বাহারছড়ায় একমাস ধরে বের হচ্ছে গ্যাস!

নলকূপ বসাতে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড চাপ

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২৩ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলকদর খালের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রবাসী আলী করিমের বাড়িতে নলকূপ বসাতে গিয়ে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। নতুন বসানো নলকূপে গ্যাস বের হওয়াতে সে স্থান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী স্থানে নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করা গেলেও আগের জায়গা থেকে ক্রমাগত বের হচ্ছে গ্যাস। মাটি চাপা দিয়েও গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করা না যাওয়ায় বিপদের শঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন আলী করিমের পরিবার। বিষয়টি জেনে গতকাল শনিবার বাঁশখালীর ফায়ার সার্ভিস লিড়ার নুরুল বাশারের নেতৃত্বে একদল ফায়ার সার্ভিস কর্মী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড়ের জলকদর খালের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ছাবের আহমদের নতুন বাড়ি ও প্রবাসী আলী করিমের বাড়িতে নলকূপ স্থাপন করা কালে ৯৬০ ফুট গভীরে গেলে হঠাৎ সশব্দে গ্যাস বের হতে থাকে। স্থানীয় লোকেরা সেখানে কাদামাটি ছাপা দিলে গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ হয়। কিন্তু মাটি শুকানোর পর আবারো গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি তারা গোপন রেখে ১০০ ফুট দক্ষিণে গিয়ে নতুন করে আরেকটি নলকূপ বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও আগের স্থান থেকে ক্রমাগত গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালে তারা সেটা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারকে জানায়। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণসহ বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস টিমকে দেখার জন্য বলে।

বাঁশখালীর ফায়ার সার্ভিস লিড়ার নুরুল বাশার বলেন, বর্তমানে তেমন বড় ধরনের কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি। সামান্য বুদ বুদ করছে। সে স্থানের পাশে না যাওয়াসহ গ্যাস বিষয়ে যারা কাজ করেন তাদের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাড়ির মালিক আলী আকবর জানান, প্রবাস থেকে দেশে এসে নতুন করে নলকূপ বসাতে গিয়ে ঘটে এ ঘটনা। ভয় পাওয়াতে বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। এমনকি স্থানীয়রা অনেকে ভয় দেখিয়ে বলেছিল, এটা জানাজানি হলে সরকার এই জায়গা নিয়ে নেবে। তিনি বলেন, নলকূপ মিস্ত্রি মাটির নিচে পাইপ বসাতে গিয়ে টের পায় কোনো কিছুর অস্বাভাবিক চাপ। চাপ এতটাই বেশি ছিল যে, প্লাস্টিকের পাইপ আর ভেতরে প্রবেশ করাতে পারছিল না। পরে বাধ্য হয়ে মিস্ত্রি আরও দক্ষিণে গিয়ে নতুন করে নলকূপ বসায়।

বাহারছরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, নতুন বসানো নলকূপ দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। বেশি গ্যাস না হলে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকট শব্দে গ্যাস বের হত না। দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক আর নিরাপদ হলো কই?
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আরো একজনের মৃত্যু