চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫০ কোটি টাকা দামের প্রায় ৪ কেজি কোকেনসহ গ্রেপ্তার বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক স্টিলা সান্তাইয়ের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্টিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রায় ৪ কেজি কোকেন চোরাচালানে চট্টগ্রামকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে পাঠানো হচ্ছিল ভিন্ন দেশে। নাইজেরিয়ার একটি চক্র এই কোকেন পাচারের সাথে জড়িত। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে নাইজেরিয়ার দুই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। কোকেনের উৎস দেশ ছিল ব্রাজিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ঢাকার বদলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, এ চালান দেশের সর্ববৃহৎ কোকেনের চালান। এর সাথে দুই নাইজেরিয়ান জড়িত থাকার আলামত পাওয়া গেছে। ওই দুজন ঢাকায় থাকেন। গ্রেপ্তারকৃত বাহামার নারীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক স্টিলা সান্তাই পেশায় একজন সেলসম্যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। তার দাবি অনুযায়ী, চিকিৎসার জন্য একটি চক্র কাগজপত্র স্বাক্ষর করাতে তাকে বাংলাদেশে আসতে বলেছিল। এ সময় তারা তাকে একটি বাঙ দিয়ে সেটি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে বলে। তাই সেটি তিনি নিয়ে এসেছেন।
গত ১৫ জুলাই শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্টিলার ব্যাগ তল্লাশি কোকেনের চালান আটক করা হয়। সান্তাইয়ের সাথে থাকা লাগেজ ট্যাগ, বোর্ডিং কার্ড, পাসপোর্ট এবং একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। তার লাগেজ স্ক্যানিং করার সময় মাদকের নমুনা শনাক্ত হয়নি। লাগেজ খোলা হলে দেখা যায়, লাগেজের মধ্যে একটি আইপিএস। সেই আইপিএসের মধ্যে একটি কার্টন, যার ভেতরে সাতটি পলিব্যাগ। প্রতি ব্যাগে ৫শ থেকে ৬শ গ্রাম করে সাদা বর্ণের কোকেনসদৃশ বস্তু ধরা পড়ে। পরে রাসায়নিক পরীক্ষা করলে কোকেন নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।