আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বাস্তবসম্মত’ ও ‘গণমুখী’ বলে প্রশংসা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করার পর সংসদ থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদেরকে কাদের বলেন, সংকটের এই সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে। দলের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও ফোকাসটা থাকবে, বাস্তবসম্মত হয়েছে এই বাজেট। খবর বিডিনিউজের।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, ডলার সংকট, রিজার্ভে পতনের এই সময়ে আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের প্রথম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী অনেক ক্ষেত্রেই কর ও ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহার করেছেন, নতুন নতুন খাতে কর বসিয়েছেন, বাড়িয়েছেনও অনেক খাতে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল– আইএমএফ সরকারের আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রীর এসব প্রস্তাব তাদের পরামর্শেই আনা হয়েছে কি না– এমন প্রস্তাব ছিল ওবায়দুল কাদেরের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, কারো প্রেসক্রিপশন মেনে বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। শেখ হাসিনা সরকার কারো প্রেসক্রিপশন মেনে চলে না। নির্বাচনি বছরে গতবার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিল সরকার, যা পরে নামিয়ে আনা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কিন্তু সেই লক্ষ্যেও পৌঁছানো যায়নি।
তবে নতুন অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছেন। মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ছয় শতাংশে নামানোর কথা বলেছেন।