ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে ফেরার পথে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্ণফুলীর বাসিন্দা তাজুল ইসলাম (৫৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে পথিমধ্যে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুর কাজী বাড়ির মরহুম এস এম ওবাইদুস সালামের ৫ম পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
জানা গেছে, তার ডেঙ্গু সনাক্ত হওয়ার পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কার্ডিয়াক এরেস্টে তিনি মারা যান। ২০১৮ সালে তিনি ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করেন। এরপর তিনি ইসলামী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক মানব সম্পদ বিভাগের (অপারেশন) প্রধান, বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ইসলামী ব্যাংকের সাউথ জোন, প্রধান কার্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং এবং পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুমের ভাতিজা বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক আনোয়ারা শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ ওবায়দুল কাদের জানেন, ঢাকায় চাকরি করলেও নিয়মিত চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকতেন তিনি। ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর বিশ্রামের জন্য চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। উনার শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে তাদের গাড়ি কুমিল্লায় পৌঁছলে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে তার মরদেহ ওই এলাকার কাজি বাড়িস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমির আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ফারহানা মমতাজ, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হক।