নগরীর আকবরশাহ বিশ্ব কলোনি এলাকায় একটি ভবনের নিচতলার বাসার ছিটকিনি কেটে চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো মো. জুয়েল, মো. হৃদয় ও শরীফ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় আকবরশাহ হারবাতলী জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি যাওয়া ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোবাইল ফোন ও একটি রূপার নূপুর উদ্ধার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদের দায়ের করা মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে আকবরশাহ থানা পুলিশ জানায়, আকবরশাহ থানাধীন শাহী বাস কাউন্টারে চাকরি করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি আকবরশাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনির ডি–ব্লকের ৮৫ নম্বর প্লটের মাহবুব সাহেবের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় তিনি কর্মস্থলে চলে যান। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার সময় তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার মুন্নী বড় মেয়েকে কোচিংয়ে নেয়ার জন্য ঘরে তালা দিয়ে বের হন। আধা ঘণ্টা পর এসে দেখতে পান, তাদের বাসার দরজার ছিটকিনি কাটা, আলমারি ভাঙা। আলমারিতে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল, ১টি স্বর্ণের নেকলেস, ১টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ৫টি আংটিসহ মোট ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ ভরি ওজনের ১ জোড়া রূপার নূপুর চুরি হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন জানিয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান আজাদীকে বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আকবরশাহ থানা এলাকার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় আকবরশাহ থানাধীন হারবাতলী জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে অভিযান পরিচালনাকারী টিম। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোবাইল ফোন ও একটি রূপার নূপুর উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকরা চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।












