বাবুলের নারাজি আবেদনের শুনানি, আদেশ ৩ নভেম্বর

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজি পিটিশন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করেন বাবুল আক্তার। একপর্যায়ে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। গতকাল বুধবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে উক্ত বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র ও বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শুনানিতে বাবুল আক্তার বলেন, আমার করা মামলায় ৫২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ জন ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন কোনো কথা বলেননি। এছাড়া আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, ছোট ভাই ও বড় ভাইয়েরও সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। অথচ তাদের কারো সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, হঠাৎ করে দুইজন লোকের (বাবুল আক্তারের বন্ধু) সাক্ষ্য নিয়ে কল্পকাহিনি বানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত। বাবুল আক্তার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল আজাদীকে বলেন, প্রথম যিনি তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি বাবুলের সম্পৃক্ততা পাননি। সম্পৃক্তা পান পরবর্তীতে তদন্তের কাজে আসা তদন্ত কর্মকর্তা। এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ রয়েছে। আমার মক্কেলকে ফাঁসাতেই কোনো একটি মহলের এ অপচেষ্টা। গত ১৫ অক্টোবর মিতু খুনে বাবুল আক্তারের করা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন বাবুল আক্তার নিজেই।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরে লঘুচাপ বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
পরবর্তী নিবন্ধট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি