বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১১ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম শুনানি শেষে তা গ্রহণ করেন। এ সময় বাবুল আক্তারসহ কারাগারে থাকা এবং জামিনে থাকা ৫ আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত থাকায় কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসাসহ পলাতক দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ক্রোকী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাবুল আক্তারকে এ মামলায় যুক্ত করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। সেই হিসেবে আমাদের নারাজি পিটিশন দাখিলের কথা। কিন্তু বাদী থেকে তিনি আসামিতে পরিণত হওয়ায় আমরা তা দিতে পারিনি। আইন অনুযায়ী আসামি নারাজি পিটিশন দিতে পারেন না। তবে মামলার এক সাক্ষী নারাজি পিটিশন দাখিলের জন্য দুই সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।
মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালু। ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কঙবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে ভারতীয় নাগরিক ও ইউএনএইচসিআর কর্মী গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত এবং খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন বাবুল। বাবুলকে এ কাজে সহায়তা করেন তার বিশ্বস্ত সোর্স মুসা। পরে পরিকল্পনা মতো জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে বলে প্রচার করেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধ১০ বছর ৯ মাস পর পলোগ্রাউন্ডে কাল বিএনপির গণসমাবেশ