ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুনের মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার চার্জগঠনের মাধ্যমে এ বিচার শুরু করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন।
এ সময় পাঁচ আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তারা হলেন, এসপি বাবুল আক্তার, সহযোগী মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও এহতেশামুল হক ভোলা। এদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে থেকে এবং অন্যরা কারাগার থেকে হাজির হন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, কামরুল ইসলাম মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালু। এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি কেশব নাথ আজাদীকে বলেন, মিতু খুনের মামলায় চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা নিয়ম অনুযায়ী চার্জগঠন করতে আবেদন জানাই। আসামিদের পক্ষ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। একপর্যায়ে আদালত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে মামলার বাদী সাক্ষ্য দিবেন। সে জন্য বাদীকে আদালতের পক্ষ থেকে সমন দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী কেশব নাথ বলেন, বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই চট্টগ্রাম কারাগার হয়ে তাকে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়। মামলার বিচার যেহেতু শুরু হয়েছে সেজন্য বাবুল আক্তারের চট্টগ্রাম কারাগারেই থাকা প্রয়োজন। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, এ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাবুলকে ফাঁসানো হয়েছে। সে জন্য তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতে তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। এতে ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তারা হলেন আবু নছর, শাহজামান, সাইদুল ইসলাম সিকদার, নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলাম। এর মধ্যে নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলাম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। চার্জশিটে সাক্ষী রাখা হয় ৯৭ জনকে।