২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মাত্র ৫৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশীয় ব্যান্ডসংগীতের অন্যতম দিকপাল, গিটার জাদুকর ও এলআরবি’র প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু। কাল রোববার চলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে ব্যান্ড সংগীতাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চুর। সংগীতের এই মহাতারকার মহাপ্রয়াণের দুই দিন আগে গতকাল শুক্রবার ‘এলআরবি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আবেগঘন এক পোস্ট দেওয়া হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের পক্ষ থেকে। পোস্টের শিরোনামে বাচ্চুর দুই সন্তান- ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব লেখেন, ‘বাবুইকে (বাবা) ছাড়া চলে গেলো দুই বছর, আরো ক’বছর এভাবে যাবে জানি না!’ এরপর ১৮ অক্টোবর তারিখটি উল্লেখ করে দেশবাসী ও ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে দোয়া চেয়ে বিবৃতি দেন তারা। লেখেন, আমাদের মত আপনাদেরও (ভক্তদের) অনেক কষ্টের এই ১৮ অক্টোবর। আমাদের বাবুই এর জন্য সবাই মন থেকে দোয়া করবেন। খবর বাংলানিউজের।
বাবার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে তারা কি উদ্যোগ নিয়েছেন সেই বিষয়টি ভক্তদের অবগত করে তারা লেখেন, আমরা আমাদের বাবুই (বাবা) এর জন্য তার জন্মদিনে (১৬ আগস্ট) ও গত বছর চলে যাওয়ার এই দিনে যতটুকু করলে আল্লাহ্ খুশি হন, ততটুকুই করেছি এবং করে যাবো ইনশাআল্লাহ। এ বিষয়ে আরও লেখেন, আমরা ঘোষণা দিয়ে কখোনোই কিছু করিনি। কারণ, আমরা আমাদের বাবুই এর কাছ থেকেই একটা জিনিস খুব ভালো করে শিখেছি যে, তোমার ডান হাতে দান করলে তোমার বাম হাত তা জানবে না। নিঃশব্দে কাজ করবা- আল্লাহ্ পাকও তা পছন্দ করেন। গত বছর আমরা চট্টগ্রামে বিশেষ আয়োজন করেছি তার পছন্দের জায়গাগুলোতে, মাজারগুলোতে। এবার পেনডেমিকের জন্য সবকিছু একটু থমকে গেছে। গতবারের মত এবারও আমাদের দুই ভাইবোনের দেশে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পেনডেমিকের কারণে আর দেশে ফেরা সম্ভব হলো না। তাই আমরা পারিবারিকভাবে আমাদের বাবুই এর পছন্দের জায়গাগুলোতেই অর্থাৎ যেখানে উনি আগেও দিতেন সেসব জায়গাতেই দোয়া খায়ের করছি। যেমন, আমাদের বাসার পাশে মসজিদে পুরো মাস জুড়ে কোরান খতম, পারিবারিকভাবে খতম আর এতিমখানায় খাওয়ানো- যেটা বাবুই নিজেই আমাদেরকে সবসময় করার জন্য শিখিয়েছেন। এছাড়া বাবুই এর পছন্দের কয়েকটা এতিমখানায় কিছু জিনিস দিচ্ছি তার নামে। আল্লাহপাক যেন আমাদের এই দান ও ইবাদত কবুল করে নেন। তার ভক্তদের কাছেও অনুরোধ থাকবে, যারা তাকে অন্তরের গভীর থেকে ভালোবাসেন তারা অন্তত ঐ দিন বাবুই জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করবেন।