বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। তা সামনে রেখে সরগরম দেশের ফুটবলপাড়া। বর্তমান বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন পরের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আগেই। এরপর আসরে নামেন তরফদার রুহুল আমিন। এবার বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন তাবিথ আউয়ালও। গতকাল ঢাকায় এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এমনটা জানান তিনি। তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘এতোদিন জল্পনা–কল্পনা ছিল আমি বাফুফে নির্বাচন করব কি না। হ্যাঁ, আমি আপনাদের জানাতে চাই আমি বাফুফে নির্বাচন করব। আগামী বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমি আশাবাদী আমি জিতব।’
সপ্তাহ খানেক আগে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক। ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন। গতকাল তাবিথের সভাপতি প্রার্থীতা ঘোষণার সময় বিএনপির কেউ ছিলেন না। অথচ তাবিথ বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন এবং তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক। তরফদারের অনুষ্ঠানে আমিনুলের উপস্থিতি ও সমর্থন সম্পর্কে তাবিথের মন্তব্য, ‘সে (আমিনুল) একজন সাবেক তারকা খেলোয়াড়। সাফজয়ী দলের সদস্য। তাকে শুধু দলের গন্ডিতে রাখা ঠিক হবে না। কেউ চাইলে কাউকে সমর্থন দিতেই পারে। এটা উন্মুক্ত বিষয়।’সভাপতি পদে এবারই প্রথম লড়তে যাচ্ছেন তাবিথ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ে বাফুফের সহ–সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান এই সংগঠক। তাবিথ আউয়াল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। ধনী পরিবারের সন্তান হলেও ফুটবলকে ভালোবেসে আরামবাগ, ফেনী সকারে খেলেছেন। ফেনী সকারের পরবর্তীতে নোফেল স্পোর্টিং দল গড়েন। তৃণমূলে আরো কয়েকটি ক্লাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফুটবল সংগঠক, ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এদিকে টানা চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কাজী সালাউদ্দিন এবার নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। এর পরদিনই নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন।