নগরের চান্দগাঁও থানার খাজা রোড খালাসি পুকুর পাড় এলাকা থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম লিমা আকতার (২০)। গত রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত লিমা চান্দগাঁও বড়ুয়াপাড়া কোটাল কাটা ইউসুফের ঘরের বাসিন্দা সরওয়ার উদ্দীনের স্ত্রী ও খালাসি পুকুর পাড়ের সাত্তার কোম্পানির বাড়ির আবদুল খালেকের মেয়ে। লিমার ২০ মাস বয়সী একটি সন্তান আছে। তার স্বামী প্রবাসী। নিহতের পরিবারের দাবি, দেবর আলাউদ্দিন তাকে হত্যা করেছেন। অবশ্য পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেবরের প্ররোচনায় আত্মহত্যা ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আদৌ হত্যাকাণ্ড কিনা সেটাও তদন্তের পর জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন দেবর আলাউদ্দিন।
পুলিশ জানায়, লিমা তার দেবর আলাউদ্দীনকে নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় খাজা রোড খালাসি পুকুর পাড়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তারা সেখানে খোশগল্পও করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বাথরুম থেকে লিমার ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
ডিউটি অফিসার চান্দগাঁও থানার এসআই মো. আমীর হোসেন আজাদীকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ৯টার দিকে পৌঁছি। তখন লাশটা ভ্যানগাড়িতে ছিল। পরিবারের সদস্যরা আমাদের জানিয়েছে, তারা বাথরুম থেকে লিমাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে এসে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা লাশ ঘরে নিয়ে সুরতহাল করি।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবার দাবি করছে, দেবর আলাউদ্দিন নাকি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে সেরকম কিছু পাইনি। কারণ ভেতর থেকে দরজা লাগানো ছিল। যে দেবরের কথা বলছে সে এবং আরেকটা ভাবি নাকি দরজা খুলে লাশ পেয়েছে। তারপরও এটা প্ররোচিত আত্মহত্যা নাকি মার্ডার সেটা তদন্ত করে জানা যাবে। তবে আলাউদ্দিন পলাতক আছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে আত্মহত্যার সংবাদ শুনে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর সাথে দেবরের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ফোনে কথা বলা ও ছবি আদান-প্রদান নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূ বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।