পাহাড়ে অব্যাহত জঙ্গি গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যে এবার জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এক প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ নয়জনকে গ্রেপ্তারের খবর দিল র্যাব। বান্দরবানের টঙ্কাবতী এলাকায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান র্যাবের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জঙ্গি সংগঠনটির পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন চম্পাইসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
বান্দরবানের ওই এলাকায় রোববার মধ্যরাতে জঙ্গি অভিযানে নামার কথা জানায় র্যাব। বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির খোঁজ পাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর থেকে পাহাড়ে র্যাবের এই অভিযান চলছে।
ওই সময় থেকে ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অনেককে গ্রেপ্তার করেছে এই এলিট বাহিনী। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সম্পৃক্ততা রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে।
অব্যাহত অভিযানের মধ্যে গত ২৩ জানুয়ারি র্যাব জানায়, জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করে। পাহাড়ে-সমতলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া খেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিরা।
অন্যদিকে জঙ্গি সংগঠনটির চার সদস্যকে গত ১ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, তাদের মধ্যে একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম রয়েছেন। ‘সংগঠনটির আমিরের নির্দেশে’ পার্বত্যাঞ্চল ছেড়ে সমতলে নেমে এসেছিলেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
জঙ্গি সংগঠনটির কতজন সদস্য, নেতৃত্বে কারা কিংবা কী পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে, সেসব নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।