চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অভিনব কৌশলে বিকাশের ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে হামলা ও ছিনতাইয়ের নাটক সাজান বিকাশ কর্মকর্তা (ডিএসও) আলী নূর ২৯)।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ১২ ঘন্টা পার হতেই পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য বের করে। এতে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কথিত ভিকটিম (বাদী) স্বীকার করেন নিজেই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন।
এর আগে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার বড়উঠান ০৫ নম্বর ওয়ার্ডের পিএবি সড়কের ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন মামলার বাদী। পরে গতকাল সোমবার রাতে প্রতারক আলী নূর বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার থানা মামলা নং-২৮।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন, বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আলী নূর মার্কেট থেকে সেলস শেষ করে চাতরী চৌমুহনী অফিসে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অজ্ঞাত একজন লোক ভিকটিমের মোটরসাইকেল থামিয়ে আরেকজন পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে দুর্বৃত্তরা ভিকটিমের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা করে ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী একটি নালায় ফেলেন।
তাঁরপর তার ব্যাগে থাকা বিকাশের ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ শত টাকা প্রায় ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি পাশের ধান ক্ষেতে ফেলে দেন ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনার তদন্তে শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোবারক হোসেন মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করে ১২ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার ঘটনার আদ্যোপান্ত ও তথ্য বের করেন।
এতে মামলার বাদী কথিত ভিকটিম নিজেই টাকাগুলো আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছেন বলে স্বীকার করতে বাধ্য হন। পুলিশের তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে ঘটনাটি ছিলো সাজানো। মূলত বিকাশের টাকাগুলো আত্মসাৎ করতেই এ নাটক সাজিয়েছিলো ডিএসও আলী নূর।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোবারক হোসেন বলেন, ‘অপরাধীরা যতই চৌকস হোক না কেন, তারা অপরাধ করার সময় কিছু না কিছু প্রমাণ রেখে যান। পুলিশ সেই প্রমাণ অনুসন্ধান করে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া আর কিছুই নয়। এটা আমার দায়িত্ব ছিলো।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ সক্ষম হন বিকাশ ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল রহস্য ভেদ করতে। আসলে বাদী নিজেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাকে স্বীকার করেছেন। বাকিটা আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে।’