দেশের আমদানি–রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় আমদানি এবং রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কন্টেনার হ্যান্ডলিং। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকটে পৃথিবীব্যাপী আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো এলসি খোলার ব্যাপারে কড়াকড়ি করায় কমে যায় আমদানি। একইভাবে বিদেশে চাহিদা কমে যাওয়ায় কমতে থাকে রপ্তানিও। কয়েক মাসের নেতিবাচক প্রভাব আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করেছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে আমদানি রপ্তানি দুটোই বেড়েছে।
নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৫৭ হাজার ৫শ টিইইউএস কন্টেনার রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। অক্টোবর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৫৩ হাজার ৪৬৪ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে ৪ হাজার ৯৬ টিইইউএস কন্টেনার।
অপরদিকে নভেম্বর মাসে আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৬৩৬ টিইইউএস। আগের মাসে আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৭ টিইইউএস। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য।
আগের মাসের তুলনায় আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই ধারা ধরে রাখতে পারলে বৈদেশিক বাণিজ্যের সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাবে।