বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্পে গাফেলতি হলে গ্রহণ করব না : মেয়র

খালে সরাসরি ময়লা ফেললে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কোনো কাজে আসবে না

| শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে বাড়ইপাড়া খাল প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। এই এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের বিষয়টি এই প্রকল্পের উপর নির্ভর করছে। তাই প্রকল্প কাজে যদি কোনো গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনা থাকে আপনারা আমাকে জানাবেন। আপনারা কাজের তদারকি করবেন। কাজ আমি বুঝে নেব যদি কোনো গাফিলতি না থাকে। বাড়ইপাড়া খালটি হলে এই এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। এই ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদের তালিকা দিবেন, আমরা দ্রুততার সাথে সমাধান করবো। প্রতিটি ওয়ার্ডে সচিব আছেন, পরিচ্ছন্ন কর্মী আছেন, সুপারভাইজার আছেন। তারা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা আপনারা তদারকি করবেন। এলাকায় মশার স্প্রে মারছে কিনা, নালানর্দমা পরিষ্কার করছে কিনা, রাস্তাঘাটগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করছে কিনা তা দেখবেন। কোথাও সমস্যা থাকলে আমাদের অভিযোগ করবেন, আমি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন এলাকায় বিল্ডিং থেকে ময়লা আবর্জনা সরাসরি খালে ফেলা হচ্ছে। খালে সরাসরি ময়লা ফেললে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কোনো কাজে আসবে না। জলাবদ্ধতার সমস্যাও দূর হবে না। তাই আমাদের আরাও বেশি সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে অপচনশীল পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। কাচের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এই শহরটা শুধু আমার একার না। চট্টগ্রামকে একটি বাসযোগ্য, নান্দনিক শহরে রূপান্তরিত করতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকার নুর হাউজিং সোসাইটির সম্মুখে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এলাকার সমস্যা সমাধানে নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় এলাকাবাসী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা মেয়রের নিকট উপস্থাপন করেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ডা. শাহাদাত হোসেন এর নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নিয়ে একজন মেয়র বসানো হয়েছিল। ঐ অবৈধ মেয়রকে আখের ঘোচানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সে আখের ঘুচিয়ে পালিয়ে গেছে। ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১ জন সন্ত্রাসীকে কাউন্সিলর বানিয়ে জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যারা সিটি কর্পোরেশনকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, যারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে মেয়র হয়েছিল, কাউন্সিলর হয়েছিল তারা এখন জনরোষে কোথায় যে হারিয়ে গেছে, পালিয়ে গেছে খবর নেই।

৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী ইলিয়াছ শেকুর সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান লিটনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বকতেয়ার, সাবেক সহআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য নুরুল আলম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, আফিল উদ্দিন আহমেদ, মসিহউদ্দৌলা জাহাঙ্গীর, নাছির উদ্দিন, হাজী আইয়ুব, মো. হারুন সওদাগর, মহানগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ম. হামিদ, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, আকতার হোসেন, শওকত আলী, এম. আবু বক্কর রাজু, মাহবুবুল আলম, নুরনবী, সাইদুল ইসলাম, মনছুর আলম, সাজিদ হাসান রনি, মনছুর আলম, ইসকান্দর হোসেন, জামাল উদ্দিন ও আব্দুল নবী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেনাপোল বন্দরে ট্রেনে করে এল ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দল