নগরীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ওই অর্থে খুব বেশি বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের দাবি নাকচ করে ভোক্তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি এবং ব্যাটারি গলি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কেজি ফুলকপি, শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ টাকা এবং মূলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। অপরদিকে গ্রীস্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন ৮০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০, পেঁপে ৪০ টাকা, চালকুমড়া ৫০, ঢেঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আজম বলেন, শীতকালীন সবজি পাইকারী আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরাতে দাম বেশি। বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণেও দামে প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে বেড়েছে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।
ফরিদ আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে, দাম বাড়েনি। এতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তশ্রেণীর ক্রেতাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থা চলতে থাকবে।