কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভোজ্য লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণে নগরীর মাঝিরঘাটের ৩৭টি লবণ মিল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ। গতকাল দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় লবণ উৎপাদন, মজুদ নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাত মনিটরিংয়ের সাথে জড়িত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), বিএসটিআই ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম উপস্থিত ছিল। পরিদর্শনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট দাম বাড়িয়ে লবণের বাজারে সংকট সৃষ্টি না করতে নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। লবণ নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে সম্প্রতি লবণের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে–এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে লবণের মিলগুলো পরিদর্শন করা হয়। আমি নিজে ১৫টি পরিদর্শন করেছি। বিসিকের কর্মকর্তারা অন্য মিলগুলোতে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাঝিরঘাটে অবস্থিত ৩৭টি লবণ মিল পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে পরিলক্ষিত হয়, বাজারে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ আছে। অধিকাংশ মিল মালিক জানান, কক্সবাজারের মাঠ পর্যায় থেকে আরো বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত লবণের পরিবহন প্রয়োজন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ২২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে, যা পুরো দেশের চাহিদার প্রায় কাছাকাছি। এরপরও মাঝিরঘাটের লবণ মিল এলাকার লবণ কারখানাগুলোর মিল গেটে লবণের দাম ২০২২ সালের তুলনায় বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০–১৫০ টাকা বেশি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল বলেন, লবণ উৎপাদন, মজুদ নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত সরকারি সংস্থা বিসিক চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিজিএম নিজাম উদ্দিনের মাধ্যমে তারা কক্সবাজারে যোগাযোগ করেছেন। সেখানে এ মৌসুমে পড়ে থাকা সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত লবণ পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিতভাবে পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদারদের দাবি, ১০০টি চামড়া সংরক্ষণের জন্য এক বস্তা লবণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রতি বছর কোরবানির ঈদের মাসখানেক আগে থেকে বাজারে লবণের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।